স্বদেশ ডেস্ক: “একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বল্পোন্নত দেশ থেকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল দেশে উত্তরণের অভিযাত্রায় আমাদের প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে”- ৩০ মার্চ জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংলাপের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ‘ উন্নয়নের এজেন্ট হিসেবে প্রবাসী, অভিবাসী এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য প্রদানকালে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন।
অভিবাসন ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন নীতির কথা উল্লেখ করে বহির্বিশ্ব থেকে দেশের অভ্যন্তরে আর্থিক প্রবাহ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষ করে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করার ওপর জোর প্রদান করেন পররাষ্ট্র সচিব মোমেন । এক্ষেত্রে তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের সফল অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিদেশের মাটিতে নিজ দেশের পণ্যের অন্যতম ভোক্তা হিসেবে প্রবাসীরা রপ্তানি বৃদ্ধি ও রপ্তানি বৈচিত্র্য আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে; তারা বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায়িক মডেল তৈরিতে অবদান রাখে এবং নিজ দেশে তাদের পরিবার ও পরিচালিত ব্যবসায়ে অর্থ প্রেরণ করে সেখানকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে তরান্বিত করে ।
স্বাগতিক এবং উৎস উভয় দেশের ক্ষেত্রেই তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষ প্রবাসীদের অপেক্ষাকৃত অধিকতর অবদানের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব নীতি-নির্ধারকদেরকে তাদের স্বাগতিক দেশের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নীতি প্রনয়নে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তি করার সুপারিশ করেন। তিনি প্রবাসীদের ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায়িক মডেল উদ্ভাবন করতে এবং বিশেষত আইসিটি শিক্ষার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা উন্নয়নে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের একটি রূপান্তরমূলক সমাধান হিসেবে ‘ জিরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ‘ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন এবং তাতে বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি তার বক্তব্যে ২০২২ সালে প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করাসহ জিরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মহতি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন এবং ২০৩০ সালের উন্নয়ন কর্মসূচিতে উল্লিখিত জিরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য অর্জনে এতদসংক্রান্ত শিক্ষার প্রসার, সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক নীতিতে উদ্ভাবন এবং আচরণগত পরিবর্তনের উপর জোর প্রদান করেন।